Sunday, May 16, 2010

ইসলাম মুসলিম উম্মাহ ও দেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে


স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ইসলাম, মুসলিম উম্মাহ এবং দেশকে ব্যর্থ অকার্যকর তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশকে ধর্মহীন সেক্যুলার রাষ্ট্র বানানো, ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সম্রাট আকবর এবং আইয়ুব খান যেভাবে আলেমদের ব্যবহার করেছি বর্তমান সরকারও তাদের মত কিছু সংখ্যক আলেমকেও টার্গেট করে ব্যবহারের চেষ্টা করছে। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্তের ঊর্ধ্বে থেকে আলেমদেরকে সময়ের দাবি অনুসারে ভূমিকা পালন করতে হবে।
মাওলানা নিজামী গতকাল শনিবার মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ, নায়েবে আমীর মকবুল আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, শর্ষিনার পীর মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, মাওলানা মুফতি আবু ইউসুফ প্রমুখ। জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে। আর সেটা জোরদার হয়েছে ৯/১১ তে টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে। কোনো নিরপেক্ষ সংস্থা দ্বারা তদন্তের কোনো গ্রহণযোগ্য রিপোর্ট এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি যে ঐ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে। তারপরেও ঐ ঘটনার পর আফগানিস্তান দখল করে নেয়া হয়েছে। গোটা মুসলিম বিশ্বেই এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। ইসলাম এবং মুসলমান শব্দ দুটোর সন্ত্রাসবাদের সাথে সর্ম্পৃক্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরাও তাদের সেই চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের বাইরে নই। বাংলাদেশের প্রতিও তাদের কুনজর আছে। এদেশে ২০০৭ সালের ১/১১ এর ঘটনা ৯/১১ এর থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। বাংলাদেশ থেকে ইসলাম, ইসলামী রাজনীতি, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সামগ্রিকভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই উৎখাতের জন্য তথাকথিত ১/১১ এর জন্ম দেয়া হয়েছিল। ঐ ঘটনার পথ ধরেই যেমন ইসলামের বিরুদ্ধে আঘাত হানা হয় তেমনি আঘাত হানা হয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর। তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ইস্যু এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবি ঐ একই জায়গা থেকে আমদানি করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্র বানানো, এর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রতিবাদ ও প্রতিরোধকারী হতে পারে ওলামাগণ এজন্য তাদেরকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত চলছে যাতে করে ব্যর্থ তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর নীল নকশা বাস্তবায়নে আর কোনো বাধা না থাকে।
আমীরে জামায়াত বলেন, তথাকথিত ১/১১ এরপর আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গর্বের সাথে বলেছিলেন, এটা তাদের আন্দোলনের ফসলের সরকার। আরো বলেছিলেন, তাদের সব কর্মকান্ডের বৈধতা দেবেন। জনগণ এসব কথা ভুলে যায়নি। রাজপথে লগি-বৈঠার তান্ডবের ফসল ছিল ১/১১। আর ১/১১ সরকার যথাযথভাবেই তাদেরকে ক্ষমতায় এনেছে। জনগণ ভোট দিয়ে তাদেরকে ক্ষমতায় এনেছে একথা সত্য নয়। মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনরা জনস্রোতের বিপক্ষে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। এক-এগারোর নীল-নকশা ছিল দেশ থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা, তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার করা এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানো। সেই একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা চলছে। তার বড় প্রমাণ গত বছর পিলখানায় জঘন্য হত্যাকান্ড। একদিকে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করা এবং অন্যদিকে আমাদের সীমান্তকে অরক্ষিত করার জন্য পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। এখন ভারত থেকে অবাধে আসছে অস্ত্র। এর উদ্দেশ্য দেশকে অস্থিতিশীল করা। সারাদেশে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়া, সীমান্ত জুড়ে ফেনসিডিলের ইন্ডাস্ট্রি হয়েছে, আমাদের যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করাই তাদের টার্গেট।
মাওলানা নিজামী বলেন, দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ও অকার্যকর রাষ্ট্র প্রমাণ করে বিদেশী সৈন্য আনার যে চক্রান্ত ১/১১ এর মাধ্যমে হয়েছিল এখনও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলছে। কোনো দেশের তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আলেমদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মাওলানা নিজামী বলেন, যারা বিদেশীদের নীল নকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদেশী সৈন্য আনতে চায় তাদেরকে সাদ্দাম থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য বলবো। ইরানের ইসলামী বিপ্লব ঠেকানোর জন্য তারা সাদ্দামকে ব্যবহার করেছে। সেই সাদ্দাম কি তাদের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে? বরং মিথ্যা অজুহাতে ইরাক দখল করে নেয়া হয়েছে। এরপর কোন দেশ টার্গেট? ইরান, সিরিয়া না বাংলাদেশ? হয়তোবা এর সবগুলোই তাদের টার্গেট। ১/১১-এর ঘটনা, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা এবং পিলখানার ঘটনা একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ঘটানো হয়েছে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে তা বোধ হয় আলেমদের বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়। এহেন পরিস্থিতিতে আলেমদের বসে থাকার সুযোগ নেই, মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে আম্বিয়া কেরামের দেখানো পথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে জায়েজ করার জন্য ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। বৃটিশ বেনিয়াদের বিরুদ্ধে ওলামারা যেমন একাধারে আন্দোলন করেছেন তেমনি একের পর এক ইসলামী প্রতিষ্ঠান করেছেন। মানুষের চরিত্র গঠন ও ইসলামী শিক্ষার প্রসারে ওলামাগণ বরাবরই সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। আজ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য ওলামাদের বিরুদ্ধে যে তথ্য সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে তার প্রতিবাদেও ওলামাদের সোচ্চার হতে হবে।
মাওলানা নিজামী আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার হয়ে একজন মেধাবী ছাত্র মারা গেছে। ফলাফল বের হলে দেখা গেল সে ফার্স্ট ক্লাস ফাস্ট হয়েছে। কই তখন তো চিরুনী অভিযান হয়নি।
তিনি বলেন, পিলখানায় হত্যাকান্ডের পেছনে যেসব মূল কুশীলব তাদেরকে বিচারের আওতায় থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সেনা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।
সরকারি তদন্ত রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়েছে আংশিক। এতে বোঝা যায় থলির বিড়াল বেরিয়ে পড়ার ভয়ে তদন্ত রিপোর্ট ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। ন্যক্কারজনকভাবে পিলখানার হত্যাকান্ডকে হজম করে ফেলা হয়েছে। আমি জানিনা এটা শেষ পর্যন্ত হজম হবে না বদ হজম হবে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করতে চাইলে আগে এই নগদ পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। এটা কাদের কারসাজী জাতিকে তা জানতে দিতে হবে। নতুবা তাদেরকেও একদিন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
আমীরে জামায়াত বলেন, সম্রাট আকবরের সময় দ্বীনে ইলাহীর নামে ইসলাম বিকৃতির চেষ্টা হয়েছিল। কতিপয় আলেমকেও এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। তৎকালীন হক্কানী আলেমদের সঠিক ভূমিকার কারণে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে পারেনি। এখন দেশে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য চক্রান্ত চলছে। এটাও বিদেশী খবরদারী প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত। বিদেশীদের চারণভূমিতে পরিণত করার যে চক্রান্ত চলছে তার বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে আলেম সমাজকেই।
এই পথে জুলুম-নির্যাতন আসবে। এটা সহ্য করতে হবে। আম্বিয়ায়ে কেরাম, চার খলিফা, ইমাম ও মুজাদ্দেদীনগণ এই জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন। তিনি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সবচেয়ে বেশী বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন আম্বিয়া কেরাম। তারপর সাহাবীদের মধ্যে যারা বেশী অগ্রসর তারা এই নির্যাতন সহ্য করেছেন। আজ কেন বিপদ আসছে তা বুঝতে বাকী থাকার কথা নয়। রসুল (সঃ) বলেছেন, দিন এভাবে যাবে না। এরূপ কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি হযরত ঈসা (আঃ) এর অনুসারীদের মত ভূমিকা রাখার কথা বলেছেন। তখন কাউকে করাত দিয়ে কাটা হয়েছে, কাউকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তারা সত্য থেকে বিচ্যুত হননি। আল্লাহর আনুগত্যের মধ্যে মৃত্যুবরণ করা নাফরমানির মধ্যে বেঁচে থাকার চেয়ে শ্রেয়।
তিনি বলেন, আকবরের দ্বীনে ইলাহী জায়েজ করার জন্য কিছু আলেমকেও ভাড়ায় ব্যবহার করা হয়েছিল, আইউব খান মুসলিম ফ্যামিলি ল অর্ডিন্যান্স করেছিল। কেউ যাতে প্রতিবাদ করতে না পারে সেজন্য কিছু আলেমকে তিনিও ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু দেশের হক্কানী আলেমরা এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। তার পথ ধরেই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। এই গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত করেছিল আলেমরা। বাংলাদেশকে আজ ধর্মহীন সেক্যুলার রাষ্ট্র বানানো, ইসলামী শিক্ষা মিটিয়ে দেয়া, দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার জন্য এখনো কিছু নামধারী আলেমকে টার্গেট করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। কোন অবৈধ ব্যবসায়ীর উপঢৌকন পর্যন্ত গ্রহণ করেননি চার ইমাম এবং হাক্কানী আলেমগণ। কোন ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের ফাঁদে পা না দিয়ে সময়ের সাহসী ভূমিকা পালনে আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে এবং সজাগ সতর্ক থাকতে হবে। কোন মহলের কারসাজিতে যেন আলেমদের প্রতিবাদ নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক ভূমিকা পালনের আহবান জানান তিনি।
মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্যই ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন। ইসলামকে আজ যে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চলছে তা অতীতে কখনো হয়নি।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগ আগে ইসলামী দল নিষিদ্ধ করেছিল। পরে সব দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল করে এবং গণতন্ত্রকে নির্বাসন দেয়। জিয়াউর রহমান ৫ম সংশোধনী না আনলে আওয়ামী লীগও রাজনীতি করার সুযোগ পেত না। তিনি বলেন, দেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানো এবং ইসলাম মুছে ফেলার জন্য যুদ্ধাপরাধী ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। তারা কওমী মাদরাসা ধ্বংস করতে চায়। ইসলামী দল নিষিদ্ধ করতে চায়। তারা রাস্তাঘাটে নারীদের অপমান করছে। ইজ্জত হানী করছে। তাই আলেমদের মধ্যে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও মৌলিক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
মকবুল আহমদ বলেন, আলেমদের মধ্যে ছোটখাটো মতপার্থক্য যাই থাকুক সেটা ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আল্লাহর দ্বীন বাস্তবায়নের পেছনে কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য সজাগ, সতর্ক থাকতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে পশ্চিমা সভ্যতা বা সেকুলারিজম থাকবে না। এটা বুঝতে পেরেই ক্ষমতাসীনদের সাঙ্গপাঙ্গরা নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, দেশ বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশ থেকে ইসলাম বিদায়ের সব আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে। কওমী মাদরাসায় নাকি জঙ্গি তৈরি হয়। এই অপবাদ দিয়ে মাদরাসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করতে চায়। দেশকে সেক্যুলার করতে তাদের চক্রান্তের কোন শেষ নেই। এখন আলেমদেরকে সুস্পষ্ট কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। অনেক সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় নেই। এক প্লাটফরমে আসা সম্ভব না হলেও স্ব স্ব অবস্থানে থেকেই সমন্বিত ইসলামী শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শুধু ইসলাম নয়, দেশের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে এই সরকার। বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর জন্য তারা একের পর এক চক্রান্ত বাস্তবায়ন করে চলেছে। তাদের কাছে শুধু ইসলাম নয়, দেশের সীমানাও নিরাপদ নয়। আজ মেয়েদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে ছাত্রলীগ যুবলীগ। দেশে সরকার আছে বলে মনে হয় না। তাই ওলামাদেরকে জাতির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ বলেন, যারা যত বড় শক্তি নিয়েই ক্ষমতায় আসুক আমাদের শক্তি আল্লাহ। ইসলামের বিরুদ্ধে যারা আঘাত হানবে আল্লাহ তাদের হাত-পা ভেঙ্গে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে সাহায্য করবেন। আমরা দ্বীনের পক্ষে থাকলে আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।
মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বর্তমান সরকার। ৭২ এর সংবিধান পুনর্প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ দেশকে পুরোপুরি সেক্যুলার করার আয়োজন চূড়ান্ত হয়েছে। ইসলামী রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। এ দেশে এসব হতে দেয়া হবে না।
মাওলানা মুফতি আবু ইউসুফ বলেন, বর্তমানে যারা ক্ষমতায় রয়েছেন তারা যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই সর্বপ্রথম আলেমদের ওপর আঘাত হেনেছে। তাদের অত্যাচারে দেশের নারী শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না। ইসলামের ওপর তারা যে সর্বাত্মক আঘাত হেনেছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

  © Free Blogger Templates 'Greenery' by Ourblogtemplates.com 2008

Back to TOP